ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ এর বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম দুর্নীতির ৮টি অভিযোগের তদন্তে প্রমানিত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ এর বিরুদ্ধে ৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আলমগীর আজাদকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স।
তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষের সাথে কথা বললে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত অধ্যক্ষ, দেখাতে পারেনি কোন আয়ব্যয়ের হিসাব। তদন্ত কমিটি সময় বেঁধে দিলেও সে সময়ের মধ্যে দিতে পারেনি কোন দলিলাদি এবং প্রমাণপত্র।
প্রকাশ থাকে যে, বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বানিজ্য, মাদ্রাসার জমি বিক্রি, জমি লিজ, দোকান ভাড়া, গাছ কর্তন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, পানির মোটর, পানির ট্যাংক সহ মাদ্রাসার সকল কিছুই যেনো থাকে তার বাড়িতে। নিজের মনে করে মাদ্রাসার সকল কিছু ভোগ করলেও অত্র প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেননি বিন্দু মাত্র। ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফি বাবদ টাকা নিয়েছে কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই। তার একক আধিপত্যে প্রতিষ্ঠানটি ধুকেধুকে যাচ্ছে রসাতলে। তার অদৃশ্য শক্তি আর সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে রেহাই পায়নি ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক কর্মচারী সহ চাকরি প্রত্যাশীরাও।
বেশ কিছু দিন যাবৎ অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ এর পদত্যাগের দাবীতে দফায় দফায় আন্দোলন করে আসছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তাদের আন্দোলনের ডাকে সারা দিয়ে ঐক্যমত পোষণ করে আন্দোলনে শরীক হন শিক্ষক কর্মচারী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দ।
তদন্ত রিপোর্টে অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ এর বিরুদ্ধে আনিত ৮টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ আকন্দ গত মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় পত্রিকা ” পল্লী কন্ঠ প্রতিদিন” পত্রিকায় “মিথ্যা অপপ্রচার ও হেনস্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ” শিরোনামে একটি প্রতিবাদ নিউজ করেন। যা জনতার কাছে একেবারে অগ্রহণযোগ্য। তিনি তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণ পত্র না দেখাতে পারলেও প্রতিবাদী নিউজে প্রমাণ পত্র আছে বলে জানিছেন। যা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কাজ হতে পারেনা বলে জানান জনসাধারণ। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ক বলেন- একজন বিবেকহীন ও চক্ষু লজ্জাহীন মানুষ ছাড়া কেউ এমন কাজ করতে পারেনা। তার উপর আনিত সকল অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হয়েছে আর তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করে প্রতিবাদ জানান। তবে দ্রুত অধ্যক্ষ এর পদত্যাগ দাবী করেন ছাত্র, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সহ জনসাধারণ।
Leave a Reply