ফৌজি হাসান খান রিকু,
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
গতকাল ২৬ জুন রবিবার সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সেতুর মাওয়া প্রান্তে টিকিট কেটে প্রথম পার হয়েছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। তাঁর নাম আমিনুল ইসলাম (৩৫)। এসেছেন ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে। তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে শতাধিক মোটরসাইকেল আরোহী রয়েছেন। পদ্মা সেতুর প্রথম পারাপ
ভোর থেকেই টোলপ্লাজা হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষ গাড়ি নিয়ে পদ্মা সেতু পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছেন। পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছিল রোববার ভোর ৬টা থেকে সেতু দিয়ে সর্বসাধারণের জন্য যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। প্রথম সুযোগেই সেতু পার হওয়ার জন্য রাত থেকে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ছিল গাড়ির দীর্ঘ সারি।
মাওয়া টোলপ্লাজায় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় করায় সময় একটু বেশি লাগছে। মাওয়া প্রান্তের ৬টির মধ্যে ৫টি বুথ দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৬৬০টি যানবাহন মাওয়া থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী জানান, প্রথ প্রথম একটু সমস্যা হচ্ছে, সেই সাথে সময়ও একটু বেশি লাগছে। দু’একদিন গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে থ্রি-হুইলার ছাড়া যেকোনো গাড়ি পার হতে পারছে।
সরকারের নির্ধারণ করা টোল হার অনুযায়ী, ছোট বাসে ১,৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে ২,০০০ টাকা এবং বড় বাসে ২,৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। ছোট ট্রাকের টোল ১,৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে ২,১০০-২,৮০০ টাকা, বড় ট্রাকে ৫,৫০০ টাকা। পিকআপের টোল ১২০০ টাকা। কার ও জিপের টোল ধরা হয়েছে ৭৫০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১,৩০০ টাকা এছাড়া মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা।
এর আগে শনিবার পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে যুগান্তকারী সাফল্য। #
ফৌজি হাসান খান রিকু,
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
তাং-২৬-০৬-২০২২ইং
০১৭১১৯৪৪০৯৫
Leave a Reply