মুক্তাগাছায় মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রীদের দিয়ে শিশুশ্রম
সজীব সরকার, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পাড়াটঙ্গী এলাকায় ‘মাদরাসাতুল মদিনা মহিলা মাদ্রাসা’র আবাসিক ছাত্রীদের দিয়ে রাতের অন্ধকারে মাটি ভরাটের কাজ করানো হচ্ছে।
ঘটনার প্রতক্ষদর্শী মুক্তাগাছা হেল্পলাইনের এডমিন জান্নাতুল নাঈম জানান আজ ১৭ জানুয়ারি রাত ৯ঃ৩০ মিনিটে বাসায় ফেরার সময় দেখি মাদরাসার বোর্ডিং এ থাকা ছাত্রীরা খালি পায়ে কাঁপতে কাঁপতে মাটি টানতেছে।
মেয়েদের বয়স ৮-১২ বছরের মধ্যে হবে। তাদের ভাষ্যে
মাদরাসার হুজুর আজ নিয়ে ২ দিন ২ ট্রাক পরিমাণ মাটি এনেছে। এই মাটি রাত ৮ টার পর থেকে ৮-১০ জন বাচ্চা মেয়েকে দিয়ে টানায়।
তিনি আরও জানান এই মাটি মাদ্রাসার কোন কাজের জন্যে না, মাদ্রাসার হুজুরের ব্যক্তিগত জমি আছে মাদ্রাসার ঠিক সামনেই, সেখানটা উচু করার জন্যে এই মাটি টানানো হচ্ছে।
জান্নাতুল নাঈম মুক্তাগাছা হেল্পলাইনের এক পোস্টে উল্লেখ করেন “নিতান্ত শিশু মেয়েবাচ্চা সবগুলো। এই শীতের রাতে যেখানে সোয়েটার, জ্যাকেট পড়েও রীতিমত কাঁপতেছি সেখানে এই বাচ্চাদের দিয়ে এমন কাজ করানো অন্যায়। এটা কোন এতিমখানা না বা অনাথ আশ্রম ও নয়। প্রতিটা বাচ্চাকে তাদের বাবা মা টাকার বিনিময়েই এখানে পড়ান। হুজুরের নির্দেশ অমান্য করলে মেয়েদের শাস্তি পেতে হয়। এমনকি রান্নার কাজ করা মহিলাও ওদের সাথে মাটি টানতেছিল, উনার কাছে হুজুরের ফোন নাম্বার চাইতেই মাটি ফেলে সবাই দৌড়ে মাদ্রাসায় চলে যায়। গতকাল রাতেও এই বাচ্চাদের দিয়ে ১ ট্রাক মাটি টানানো হয়েছে।
মাদ্রাসার গেটে গিয়ে হুজুরকে অনেক ডাকাডাকি করা হলেও হুজুর বাইরে আসেন নি।”
তিনি আরও জানান এর আগেও এই মাদ্রাসার বাচ্চাদের দিয়ে বালি টানানোর ঘটনা দেখেছি।
এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে
এর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানানো হলে মুক্তাগাছার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মনসুর জানান এই বিষয়ে তদন্ত করে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply