প্রত্যায়ন পত্র দিয়ে আওয়ামী লীগ সাজা যায় কিন্তু আওয়ামী লীগ হওয়া যায় না।
মোঃ সুমন হোসেন আসন্ন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সম্ভাব্য প্রার্থী। সাতক্ষীরাতে স্কুল কলেজ পড়ালেখার সুবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি শুরু হয়ে চলতে থাকে। ছাত্রদলের কমিটি দীর্ঘদিন না হওয়াই প্রত্যাশিত পদ পাওয়া হয়নি। কলেজের গন্ডি পেরিয়ে পড়ালেখার সুবাদে ঢাকায় চলে আসে, ঢাকা কলেজে ভতি হয়।পরিচিতো হয় পল্লব – সুইম কমিটির প্রচার সম্পাদক সোহেল রানার সাথে হলে ওঠার জন্য ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু হয় আহবায়ক কমিটির সদস্য হয়ে।
পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ২৮শে নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী পদে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেয় সুমন। সে জামাত পরিবারে সন্তান এবং ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ততা থাকায় প্রমাণিত হওয়ায় সম্মেলনের প্রধান অতিথি ফরিদপুর -০১ আসনের তৎকালীন মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আব্দুর রহমান প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তিনি নিজ হাতে সুমনের জীবন বৃত্তান্ত ছুড়ে ফেলে দেন।
ছাত্রলীগ প্রার্থী সুমনের আম্মা আম্বিয়া খাতুন একজন জামাত ইসলামের উঠান বৈঠক সক্রিয় কর্মী গড়ার কারিগর আলিপুর ইউনিয়ন মহিলা জামায়াতের রোকন, এ বিষয়ে অবগত আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সর্ব মহলে পরিচিত জামাত পরিবারের সন্তান কে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব মেনে নিতে চাই না তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ প্রার্থী সুমনের চাচা ডাকনাম টেক্কা নামে পরিচিত তিনি সাতক্ষীরা জেলা জামাতের সূরা সদস্য তিনি জামায়াত ইসলামের একজন সক্রিয় ক্যাডার, এলাকায় টেক্কা বাহিনী হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সাতক্ষীরা জামাত ইসলামের কর্মকাণ্ডে তৃণমূলের কর্মীরা হতাশ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আলীপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর, বাদামতলা বাজারে বিভিন্ন সভায় জামাত ইসলামের জ্বালাও-পোড়াও ও নাশকতা অগ্নিসংযোগ সৃষ্টি করে সুমনের চাচা জামায়াতের ক্যাডার টেক্কা তার প্রধান নেতৃত্ব দেন, এ বিষয়ে অবগতি আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা।
২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর ইং তারিখে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে নেতা না হতে পেরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চাকুরির নাম করে তার মাতা আম্বিয়া খাতুন কে দিয়ে
কুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠিয়ে হাতে-পায়ে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ করে, ছেলেকে চাকরি দেবে বলে এদিকে সুমনের পিতা আতিয়ার রহমান ভুট্টো আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহারুল এর কাছ থেকে হাতে-পায়ে ধরে ধরে কান্নাকাটি করে প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ করে অপরদিকে সুমন মামুদপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছে কান্না-কাটি করে পড়ে বলে চাকরি করবে বলে প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ করে।
পুনরায় ছাত্রলীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য সে এই কলা কৌশল অবলম্বন করে এবং অতি বুদ্ধিমত্তার সাথে সেগুলো প্রচার-প্রচারণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর দাখিল/প্রেরণ করে।
প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ করেই স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর সক্রিয় পরিবার হয়ে প্রমান করতে চাই আওয়ামী লীগ পরিবার।
শুধু তাই নয় জেলা ছাত্রলীগের প্রার্থী জামাত পরিবারের সন্তান সুমন সাথে থাকা সকল বন্ধু বাপ্পি, রাজু, শরিফুল, ছহরাব সহ তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাছুম পারভেজ যে আলিপুর ইউনিয়ন ছাত্র দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, তাদের সকলের পারিবারিকভাবে দেখতে গেলে পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন সকালেই জামাতপন্থী এবং তারা বিভিন্নভাবে ভোমরা, আলিপুর, মামুদপুর, বাদামতলা আলিপুর চেকপোস্ট সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় তারা জ্বালাও-পোড়াও করে অগ্নিসংযোগ করে যা সাতক্ষীরা আলিপুর ইউনিয়ন বাসির কারো অজানা নয়।
Leave a Reply